রাতে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২১, ২০:৫৫

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বুধবার। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। সমুদ্রবন্দরগুলোতে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে এ ঝড়ে উপকূলীয় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না বলে মনে করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আগামীকাল থেকে গরম কমতে পারে। হতে পারে বৃষ্টিও।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। যা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে দেশের খুলনা, বাগেরহাট এবং ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিতে বয়ে যাবে ঝড়ো হাওয়া। যা পরবর্তীতে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে, সচিবালয়ে এক প্রস্তুতি সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় পুরো উপকূলজুড়ে সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কর্মকর্তারা। আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেছেন, আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি, রবিবার রাত নাগাদ এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তখন সেটির কেন্দ্র, গতি বা কোনদিকে যাচ্ছে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
নিম্নচাপে পরিণত হলে ২৫/২৬ তারিখে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার উত্তর আন্দামান সাগর এবং আশেপাশের এলাকায় ওই লঘুচাপের তৈরি হয়। আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, বুধবার নাগাদ সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আগামী বুধবার নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এটির নাম হবে ‘ইয়াস’। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী- এই নামটি প্রস্তাব করেছে ওমান। এর অর্থ ‘হতাশা’।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করে বলেছেন, ‘আরেকটি ঘূর্ণিঝড় কিন্তু আসছে। সেটা কেবল তৈরি হচ্ছে, কতটুকু যাবে....এখন আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আমরা অনেক আগে থেকেই জানতে পারি। আর সেই বিষয়ে পূর্ব সতর্কতা আমরা নিতে শুরু করেছি।’